ওপার বাংলার টেলিভিশন অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাগেরবাজারের রামগড় কলোনি এলাকায় এক ফ্ল্যাট থেকে বুধবার এই ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রী পল্লবী দে-র। তার মৃত্যুর সপ্তাহ পার না হতেই বিদিশার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, নাগেরবাজারের রামগ কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বিদিশা দে মজুমদারের মরদেহ। তার বয়স ২১ বছর। তার মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা পুলিশ তদন্ত করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিদিশার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া ছিল। তার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদিশার দেহের পাশে পাওয়া গেছে একটি সুইসাইড নোটও।

সেই চিঠিতে অনুভব বেরার উল্লেখ রয়েছে কি না, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছে। এদিকে বিদিশার দেহ আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।

এই উঠতি মডেলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে জানা যায়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী প্রায়শয়ই বন্ধুদের কাছে আক্ষেপের সুরে বলতেন, ‘ওকে ছাড়া বাঁচব না। নিজেকে শেষ করে দেব।’ ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে যে শেষ পর্যন্ত সত্যি নিজের জীবন কেড়ে নেবেন, এই কথা গুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি কেউ। এদিকে এই ঘটনার পর বিদিশার বয়ফ্রেন্ড অনুভব বেরার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। জানা গেছে, অনুভব একটি জিমে ট্রেনার হিসেবে কাজ করতেন। বিদিশার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি অন্য অনেক মেয়েদের সঙ্গেই নাকি সম্পর্কে জড়ায় অনুভব। আর এই নিয়েই হতাশায় ভুগছিলেন বিদিশা।

এমনি হাসিখুশি মেজাজের বিদিশার বাড়ি কাঁকিনাড়ায়। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তবে গত দেড় মাস ধরে নাগেরবাজারের রামগড় এলাকায় একটি ফ্ল্যাট শেয়ারে ভাড়া নেন তিনি।